হঠাৎ করেই রমজানের প্রথমদিন থেকে রাজধানীতে শুরু হয় গ্যাস সংকট। গ্যাসের এই সমস্যার কারণে অনেক বাসায় জ্বলেনি চুলা। এ সমস্যা চরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। চলমান এই গ্যাস সংকট কাটিয়ে উঠতে আরও কয়েকদিন সময় লেগে যেতে পারে।
রাজধানীর আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর, কাফরুল, আদাবর, বনশ্রী, রামপুরা, আজিমপুর, লালবাগ, ধামমন্ডি, সিদ্ধেশ্বরী, কাঁঠালবাগান, মিরপুর, ক্রিসেন্ট রোড, জিগাতলা, শ্যামলী, কল্যাণপুর, এলিফ্যান্ট রোড, গ্রিন রোড, মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, নারিন্দা, মিরপুর ১, ২ ও ১০ নম্বর এলাকায় গতকাল গ্যাসের সংকট দেখা দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্যাস সরবরাহ সমস্যা সমাধান হতে আরও কয়েকদিন অর্থাৎ ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
এদিকে বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে জানিয়েছে, বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো কোনো এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপের সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে কিছু কিছু গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটছে। ফলে কোনো কোনো এলাকায় সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। অভিজ্ঞ প্রকৌশলীবৃন্দ রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজ করে যাচ্ছেন। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আশা করা যাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে লিখেছেন, বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেশকিছু এলাকার গ্রাহকবৃন্দ গ্যাস সংকটে পড়েছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ভোগান্তির জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানা গেছে, দেশের বড় গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মধ্যে বিবিয়ানা অন্যতম। সেই ক্ষেত্রের ছয়টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের জোগানের সংকট তৈরি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে রাজধানী ঢাকায়।
সংকট কাটিয়ে গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিবিয়ানার ছয়টি কূপ থেকে গত শনিবার রাতে গ্যাস উত্তোলনের সময় বালি উঠতে শুরু করে। এ কারণে গ্যাস উত্তোলন কাজ বন্ধ করে দিতে হয়। ওই রাতেই প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংকট দেখা দেয়। যার প্রভাব পড়ে সরবরাহ ব্যবস্থায়।