শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের হার কমতে থাকার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সঠিক সময় মনে করেই আজ দেশে স্কুল-কলেজ সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের হার কমতে থাকার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা ধরে নিয়েছিলাম, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার একেবারে ৫ শতাংশে না হলেও এর কাছাকাছি নেমে আসবে। তার ভিত্তিতেই কিন্তু আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সময়টাকে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার উপযুক্ত সময় মনে করেছি।’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আজ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। সবার মধ্যেই সাজসাজ রব। শিক্ষার্থী থেকে অভিভাবক সবার মধ্যেই উদ্দীপনা বিরাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে শয়ে শয়ে মেসেজ এসেছে যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবেন না। আসলে সবদিকেই অনেক মতামত রয়েছে। তার মধ্য থেকেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও আমরা সেই চিন্তাও মাথায় রেখেছি। যদি কোনো আশঙ্কা দেখা যায়, তাহলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে না রেখে আগের পদ্ধতিতে ফিরে যাব।’
স্কুল ড্রেস নিয়ে শিক্ষার্থীদের চাপ না দিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশে আমি বলতে চাই, আপনারা শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেসের বিষয়ে চাপ দেবেন না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব নিতে হবে।’
দীপু মনি বলেন, ‘বিষয়টি মনিটরিংয়ের জন্য প্রত্যেক জেলায় একটি কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। পরে এর নম্বরগুলো প্রচার করা হবে। যে কেউ এসব নম্বরে ফোন করে যদি জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেকোনো সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেব।’
বেতন নিয়ে অভিভাবকদের চাপ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বেতন নিয়ে অভিভাবকদের যেন চাপ দেওয়া না হয়। করোনার এই সময়ে অনেকের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।’
একইসঙ্গে অভিভাবকদের উদ্দেশে দীপু মনি বলেন, ‘আপনারা অন্যান্য খরচ কমিয়ে আপনার সন্তানদের বেতন আগে পরিশোধ করতে পারেন। বেতনের টাকা কিন্তু খুব বেশি নয়।’