রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে টিকা দেওয়া শুরু

0
119

রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া শুরু হওয়া এ কার্যক্রমের প্রথম টিকা নিয়েছেন।

সকাল ৯ টার দিকে টিকা নেওয়ার পর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘টিকা নেওয়াটা আমার সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত দায়িত্ব। আমাকে দেখে মানুষ আস্থা পাবে, সাহস পাবে। এখানে আজ অনেক লোক জড়ো হয়েছেন।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ প্রায় ২০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিনসহ শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, আনসারসহ ২০০ জন টিকা নেবেন।

এর মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আজ ৪০০ স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড-১৯-এর টিকা নেবেন।

এই তিন হাসপাতাল বাদে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১০০ ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৬০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে এ টিকা দেওয়া হবে। এ দুটি হাসপাতালেও সম্পন্ন হয়েছে টিকাদানের প্রস্তুতি। সব মিলিয়ে পাঁচ হাসপাতালে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে টিকা দেওয়ার কথা আছে।

এর আগে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বহু প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রথম পাঁচ জনকে টিকা দেওয়া প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই পাঁচজনসহ গতকাল মোট ২৬ জনকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে।

সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। দেশের মানুষকে টিকা পেতে অনলাইনে নিবন্ধনের জন্য অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। করোনার টিকা নিতে আগ্রহী ব্যক্তিদের নিবন্ধন করতে হবে ‘সুরক্ষা’ নামক ওয়েব পোর্টালে (www.surokkha.gov.bd)। অ্যান্ড্রয়েড বা অ্যাপল প্লে-স্টোর থেকে সুরক্ষা মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করেও করা যাবে নিবন্ধন।