নতুনভাবে ৪০ হাজার যুবককে ড্রাইভিং শেখাবে সরকার

0
27
ড্রাইভিং শেখাবে সরকার

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, দক্ষ গাড়ি চালক তৈরির লক্ষ্যে ৪০ হাজার যুবককে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি সারাদেশের উপজেলায় পর্যায়ে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু, যুবকের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণের জন্য ১০০টি প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র, জেলায় জেলায় যুব উদ্যোক্তা মেলা, শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ডসহ যুবকদের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ফুটবল ও ক্রিকেটসহ সব খেলার উন্নয়নে আরও কর্মসূচি থাকছে।

সোমবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফের নেতৃত্বে মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ক্র্যাবের সহ-সভাপতি নিত্য গোপাল তুত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান উজ জামান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুদ্র রাসেল ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম মিন্টু।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মুজিববর্ষকে সামনে রেখে ফুটবল ও ক্রিকেটসহ স্পোর্টসের গণজোয়ার সৃষ্টির লক্ষ্য ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেটা হয়ে উঠেনি। ফুটবল নিয়ে আমাদের যে অবস্থায় যাওয়ার সুযোগ ছিল সেটা হয়তো যেতে পারিনি। কিন্তু ক্রিকেটে আমরা আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আসলে করোনা সংক্রামণজনিত কারণে আমাদের সব খেলাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সমস্যা হয়তো বেশি দিন থাকবে না।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যুবকদের জন্য আমরা অনেকগুলো কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আমাদের যুবপ্রশিক্ষণ আগে জেলা পর্যায়ে ছিল এখন আমরা উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার উদ্যোগ নিয়েছি। এতদিন সব ট্রেনিং সরাসরি হলেও আমরা অনলাইনে ট্রেনিং করার উদ্যোগ নিয়েছি। ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণে বেশি মানুষকে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা দক্ষ চালক তৈরির জন্য সারাদেশে আমাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে ৪০ হাজার দক্ষ চালক তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ দেব। নতুনভাবে এসব চালক তৈরি করা হবে। এটা সম্পূর্ণ নতুন সেটআপ। বিষয়টা সড়ক ও সেতু বিভাগের কাজ। তাদের সঙ্গে আমরাও এই কাজে যোগ দিয়েছি।

জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, দেশজুড়ে কৃষকদের উৎপাদিত শাকসবজি প্রক্রিয়াজাত করার লক্ষ্যে মুজিববর্ষে আমরা ১০০টি প্রসেসিং প্লান্ট করার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাবেন। কৃষি মন্ত্রণালয় আগে এই কাজটি করতো এখন আমরা এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। পাশাপাশি ঢাকায় ১০০টি ও ঢাকার বাইরে ১০০টি যুবশপ করবো। এতে যুবকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য এসব শপে নিজস্ব ব্রান্ডের নামে বিক্রি করতে পারবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী মার্চ মাসেই শরিয়তপুরে আমরা যুব উদ্যোক্তাদের নিয়ে মেলা করছি। পর্যায়ক্রমে দেশের সবগুলো জেলায় আমরা এই মেলা করবো। এতে যুব উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যগুলো তুলে ধরতে পারবে।