তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ গণমাধ্যমকর্মীদের করোনাকালের নির্ভীক যোদ্ধা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘করোনার শুরু থেকেই ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে সাংবাদিকেরা কাজ করে চলেছেন, সত্যিই তা প্রশংসনীয়। আমি কোনো সাংবাদিককে ভীতি নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে দেখি নাই। এতে করে আমার অনেক ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছেন, যা আমি কখনো ধারণা করতে পারিনি।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) আয়োজিত ‘চিত্রকর্ম ও আলোকচিত্রে করোনায় গণমাধ্যমের লড়াই’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিজেসির ট্রাস্টি সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার সভাপতিত্বে আলোচনায় বরেণ্য চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও গুলশান হোসেন অনলাইনে যোগ দেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনায় যখন দেশে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হয় তখন পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী ও সাংবাদিকদের ও অন্যান্য কিছু গাড়ি রাস্তায় চলাচল করে। করোনায় একে একে ৩৭ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন এবং কয়েকশ সংবাদকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
‘এই করোনাকালে সঠিক সংবাদ মানুষের কাছে পৌঁছানোর কাজে এবং গুজব ও কুচক্রী মহলের নানামুখী ষড়যন্ত্র বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করোনার শুরুতে যে অপচেষ্টা ছিল, সেগুলোর বিরুদ্ধে মূলধারার সাংবাদিক, মূলধারার গণমাধ্যমগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, করোনার সময় বিজেসিসহ সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে করোনাকালে সাংবাদিকদের যেভাবে সহায়তা দেওয়া হয়েছে; ভারত, পাকিস্তান, নেপাল বা শ্রীলঙ্কা কোনো জায়গায় সাংবাদিকদের করোনাকালে এ ধরনের সহায়তা করা হয়নি। শুধু মৃত্যু হলেই সেখানে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আমরা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত সাংবাদিক যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাচ্ছিলেন না, সেই সাংবাদিকদের এককালীন সহায়তা দিয়েছি। সেটি এখনো অব্যাহত আছে। তাই বিজেসিকে অনুরোধ জানাব, তাদের তালিকা যদি আমাদের দেন তাহলে আমরা সহায়তা করতে পারব।